হে রসূলে আরাবী….
হে রসূলে আরাবী….
তোমার কথা আমি শুনে যাই
বাদ যায় না একটাও দিন।
তোমার বলা আমি কান পেতে শুনি
আর অজান্তেই নিজেকে বদলানো পাই।
আহ! কি সুন্দরই না তোমার বলা!
সংক্ষিপ্ত, অথচ ব্যাপক।
অর্থপূর্ণ, অথচ ভাব-গম্ভীর।
হৃদয়-কথন, অথচ সুস্পষ্ট।
প্যান্টগুলো সেলাই করা ছিলো ‘ইন-স্টাইলে’,
কিন্তু তোমার কথায় সস্তা হয়েছে যুগের ফ্যাশন।
হাজার দিয়ে কেনা জিন্স তাই পড়ে আছে অবহেলায়।
আমার মাথায় বামপাশ থেকে সিঁথি করা লম্বাচুল ছিলো,
কিন্তু তোমার জন্যে একদিন পেছনে জেগেছে বাবরী।
তোমার কথায় সামান্য কারণে রাগ করা ছেড়েছি,
তোমার কথায় চল্লিশ গুনেছি তাকবীরে উলার।
চেহারার পার্শ্বগুলো তোমার কথায় ক্ষুরকে বলে দিয়েছে ‘না’।
তোমার কথায় একদিন গোলজামা হয়ে গেছে টি-শার্টও।
অসতর্ক নাপিত একবার ভুলে টান দিয়েছিলো।
কচি দাড়িগুলো নীল হয়েছিলো হারানোর ব্যথায়।
হাতের মুষ্টি ঘুষি হয়ে উপরে উঠছিলো,
তোমার বাণী কিন্তু মূহুর্তেই ধরে ফেলে সেই হাত।
সেদিন শিখেছি আমি সবরের নতুন সবক।
নতুন ক্যাম্পাসে বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গ তারও জুটেছিলো।
তোমার কথন কিন্তু কেটে দেয় সেই নিষিদ্ধ ঘোর।
ডাইনিং রুমের পাল্টানো চেহারাই কি তোমার সবক?
ওখানে কি ফরাশ, উপরে লাল দস্তরখান?
হঠাৎ তুমি, অথচ সে রাতের বিছানায়,
শরীরটা ঘুরে মূহুর্তেই হয়ে যায় ডানকাত।
চোখগুলো খুলে দেখে তখন মাঝরাত।
তোমার কথায় শিখেও ফেলে ওভাবে দাঁড়ানোটা।
হোস্টেল মসজিদের দু’তলার বারান্দা জেগে থাকে অবিরাম।
রাত বারোটায় কালামুল্লাহর গুনগুন,
রিডিং রুমের ওরাও শুনে ।
কারা ওরা? কিভাবে বদলে যায়!
তুমি আছো বলে, তোমার কথায় এখনও বদলের ঢেউ জাগে।
উঠতি দাঁড়ি আর কচি কচি মুখ।
নতুন পানজাবী আর পাগড়ির ভাঁজে
তুমি জেগে থাকো অনাগত চৌদ্দশ বছর।
উম্মাহ জেগে থাকে,
বেঁচে থাকে পৃথিবী।
হ্যাঁ তিনিই মুহাম্মাদ, তিনিই হাবীবুল্লাহ!
রব্বি, আলা হাবিবীকা সাল্লি ওয়া সাল্লিম।